আর্থিক সংস্থায় আমানত রাখার পূর্বে যাচাই করে নù - আরবিআই - Reserve Bank of India
আর্থিক সংস্থায় আমানত রাখার পূর্বে যাচাই করে নিনঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সতর্কতামূলক বিবৃতি
তারিখঃ 31.05.2013 আর্থিক সংস্থায় আমানত রাখার পূর্বে যাচাই করে নিনঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সতর্কতামূলক বিবৃতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আজ আম জনতার উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি জারি করেছে যেখানে নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিতে আমানত রাখা সহ তাঁদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সাবধানতার সঙ্গে মূল্যায়ন করতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। এই বিবৃতি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃক জারি করা ‘বারংবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলির’ একটি অংশ। বারংবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সংস্থা এবং তাদের নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিয়মগুলি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে। তারা এক তালিকাও তৈরি করে যেখানে আম জনতা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন যদি কোনও আর্থিক সংস্থাকে অপ্রাধিকৃতভাবে ব্যবসা করতে অথবা জমা অর্থ পরিশোধ না করতে দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে ‘বারংবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলিতে’ বলা আছে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেইসব নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে যারা প্রধান ব্যবসা হিসেবে আর্থিক কার্যকলাপ করে থাকে; কয়েকটিমাত্রই নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি আছে যারা টাকা জমা নিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক প্রাধিকৃত; সব নিগমিত সংস্থাকেই টাকা জমা নেওয়ার জন্য অবশ্য করেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট 1934-এর অধীনে অথবা কোম্পানি অ্যাক্ট 1956-এর অধীনে প্রাধিকৃত হতে হবে; এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চিট ফাণ্ড কার্যকলাপ অথবা যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প (সিআইএস) নিয়ন্ত্রণ করে না। ‘বারংবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি’ আরও বলে যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক ডিপোজিট গ্রহণ করতে পারে এমন প্রাধিকৃত নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানির তালিকা আরবিআই ওয়েবসাইটে (www.rbi.org.in--Sitemap--NBFC List—List of NBFCs Permitted to Accept Deposits) পাওয়া যাবে এবং আম জনতাকে পরামর্শ দেয় নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিতে টাকা রাখার আগে তালিকাটি পরীক্ষা করে নিতে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অতীতে বেশ কয়েকবার, প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং আঞ্চলিক কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত বহির্প্রসারি ও সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে জনসাধারণকে সতর্ক করে চলেছে ব্যক্তি, অনিগমিত সংস্থা এবং কোম্পানি দ্বারা প্রতিশ্রুত অসমর্থনযোগ্য লাভজনক ভুয়ো প্রস্তাবের শিকার না হতে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘বারংবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি’ জনসাধারণকে এই পরামর্শ দেয় কোনও কোম্পানি অনধিকৃতভাবে টাকা জমা নিলে, অথবা মূল এবং/অথবা সুদ পরিশোধ না করলে তাঁরা যেন অবিলম্বে স্থানীয় পুলিশ অথবা রাজ্য পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখার কাছে এবং সংস্থাটি যদি কোনও কোম্পানি হয় সে ক্ষেত্রে রেজিস্টার অফ কোম্পানিজের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিতে টাকা জমা করার পূর্বে কী* পরীক্ষা করতে হবে সেই বিষয়ে আরবিআই-এর পরামর্শ নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিতে টাকা জমা রাখতে ইচ্ছুক কোনও জমাকারীকে সুনিশ্চিত হতে হবে যেঃ নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিটি আরবিআই-এর কাছে পঞ্জীকৃত এবং টাকা জমা নিতে বিশেষভাবে প্রাধিকৃত। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট-www.rbi.org.in—Sitemap—NBFC List-এ প্রকাশিত আমানত জমাকারী এনবিএফসিদের তালিকা থেকে তা পরীক্ষা করা যাবে। জমাকর্তা অবশ্যই টাকা জমা নেওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত এনবিএফসিদের তালিকা পরীক্ষা করবেন এবং এও দেখবেন যে টাকা জমা নেওয়ার জন্য নিষিদ্ধ কোম্পানির তালিকাতে উক্ত কোম্পানিটির নাম নেই। নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিকে নিজের সাইটে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা পঞ্জীকরণ প্রমানপত্র এমনভাবে প্রদর্শন করতে হবে যাতে সেটি সহজেই চোখে পড়ে। যদি কোনও নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি জনগণের কাছ থেকে টাকা নিতে প্রাধিকৃত হয়, প্রমানপত্রে তা দেখাবে। আরবিআই নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি দ্বারা গৃহীত আমানত পরিশোধের গ্যারান্টি দেয় না। নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি নিজেদের ব্যবসা চালানোর সময় কোনও ভাবে আরবিআই-এর নাম ব্যবহার করতে পারবে না। বর্তমানে, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি কোনও আমানতকারীকে সর্বোচ্চ যে হারে সুদ দিতে পারে তা 12.5% -এর অধিক হবে না। তথাপি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সামগ্রিক আর্থিক বাতাবরণের ওপর নির্ভর করে এই সুদের হারে ক্রমাগত পরিবর্তন এনে থাকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হারের পরিবর্তন www.rbi.org.in—Sitemap—NBFC List—FAQs—এ প্রকাশ করে। আমানতকারী অবশ্যই কোম্পানিতে জমা করা প্রত্যেক রাশির জন্য উপযুক্ত রসিদ চাইবেন। রসিদটিতে কোম্পানি দ্বারা প্রাধিকৃত কোনও আধিকারিকের স্বাক্ষর, জমা করার তারিখ, আমানতকারীর নাম, অংকে এবং শব্দে আমানতের রাশি, দেয় সুদের হার, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং রাশির পরিমাণ থাকা চাই। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের ওপর সুদের হার অথবা লাভের হার বাজারের অন্যান্যদের দ্বারা প্রস্তাবিত দর অপেক্ষা বেশি হলে বিনিয়োগকারীকে সাধারণভাবে সাবধান থাকতে হবে। অর্থ গ্রহণকারী সংস্থাটি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অপেক্ষা বেশি উপার্জন করতে সমর্থ না হলে, নিজের প্রতিশ্রুতিমত বিনিয়োগকারীকে অর্থ পরিশোধ করতে সমর্থ হবে না। উচ্চতর লাভ অর্জন করার জন্য সংস্থাটিকে বেশি ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। উচ্চতর ঝুঁকির অর্থ ফাটকাবাজি শুরু করা এবং ওই রকম কাজকর্মে কোনও নিশ্চিত লাভ থাকতে পারে না। অতএব, জনগণকে স্বতঃই সাবধান থাকতে হবে যে উচ্চহারে সুদ প্রদান করে যেসব প্রকল্প সেখানে অর্থক্ষতির বেশি সম্ভাবনা আছে। তৎসত্বেও উচ্চহারে লাভের প্রতিশ্রুতি দেয় যে প্রকল্প সেখানে বিনিয়োগ করতে চাইলে বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে ওইরূপ লাভের প্রস্তাব দেয় যে সংস্থা তা আর্থিক ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রকগুলির কোনও একটিতে পঞ্জীকৃত এবং আমানত বা অন্য কোনও আকারে পুঁজি গ্রহণ করার জন্য প্রাধিকৃত। *তালিকাটি দৃষ্টান্তমূলক কিন্তু পূর্ণাঙ্গ নয়। আর.আর.সিনহা প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ 2012-2013/2016
|