অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের প্র - আরবিআই - Reserve Bank of India
অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের প্রমাণপত্র ( প্রায়রিটি সেক্টর লেনডিং সার্টিফিকেট)
RBI/2015-16/366 এপ্রিল 7, 2016 চেয়ারম্যান/ প্রাবন্ধিক নির্দেশক/ মাননীয় মহাশয়া/ মহাশয়, অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের প্রমাণপত্র ( প্রায়রিটি সেক্টর লেনডিং সার্টিফিকেট) অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের প্রমানপত্রের পরিচয়্করণ বিষয়ক ‘অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ঋণ – লক্ষ্যমাত্রা এবং শ্রেণীবিভাগ’(Priority Sector Lending - Targets and Classifications) সংক্রান্ত এপ্রিল 23, 2015 তারিখাঙ্কিত সারকুলার FIDD.CO.Plan.BC 54/04.09.01/2014 – 15-এর অনুচ্ছেদ VIII দেখুন। 2. ভারত সরকার, “ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুসারে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের প্রমাণপত্র(পিএসএলসি) সংক্রান্ত কাজকর্মের বিষয়টিকে” ফেব্রুয়ারি 04, 2016 তারিখাঙ্কিত দ্রষ্টব্য নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, 1949-এর ধারা 6 (1)(o)-এর অধীনস্থ ব্যবসা হিসাবে নির্দিষ্ট করেছে। তদনুসারে, পিএসএলসি-র কারবার সংক্রান্ত নির্দেশবিধি অ্যানেক্স অংশে সংযুক্ত করা হল। পিএসএলসি সংক্রান্ত কারবারে সহায়তা করতে সিবিএস পোর্টালের(ই-কুবের) মাধ্যমে একটি কারবারের মঞ্চ প্রদান করা হচ্ছে । কারবারের উদ্দেশ্যে মঞ্চটিকে ব্যবহার করার পদ্ধতি/ নির্দেশবিধি বিস্তারিতরূপে পোর্টালটির থেকে পাওয়া যাবে। আপনার বিশ্বস্ত, (এ. উদগাতা) সংযুক্ত অংশ: যেমন উল্লেখিত অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের প্রমাণপত্র-যোজনা i) উদ্দেশ্য: অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদান সংক্রান্ত লক্ষ্য এবং অনুলক্ষ্য (সাব-টারগেট) পূরণে ঘাটতি হলে এইসব ইন্সট্রুমেন্ট কিনে সেগুলি পূরণ করতে ব্যাঙ্কসমূহকে সক্ষম করা এবং একই সাথে উদবৃত্ত ব্যাঙ্ককে উৎসাহিত করা; এর দ্বারা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলির অধীনস্থ বিভাগগুলিতে ঋণপ্রদান বৃদ্ধি করা। ii) ইন্সটুমেন্টের প্রকৃতি: বিক্রেতা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানে বাধ্যবাধতার লক্ষ্যসিদ্ধি বিক্রয় করতে থাকবে এবং ক্রেতা তা ক্রয় করবে। ঋণ সংক্রান্ত সম্পদের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি স্থানান্তরণ করা যাবে না। iii) পদ্ধতি প্রকরণ: আরবিআই-এর সিবিএস পোর্টালের (ই-কুবের) মাধ্যমে পিএসএলসি-র কারবার করতে হবে। ই-কুবের পোর্টালে এই কারবারটি সম্পর্কিত কাজকর্ম সম্পাদন করার জন্য নির্দেশবিধি বিস্তারিতভাবে পাওয়া যাবে। iv) বিক্রেতা/ক্রেতা: তফশিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক (এসসিবি), আঞ্চলিক গ্রামীন ব্যাঙ্ক (আরআরবি), লোকাল এরিয়া ব্যাঙ্ক (এলএবি), স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক (যখন থেকে এগুলি ক্রিয়াশীল হবে) এবং শহরাঞ্চলিক সমবায় ব্যাঙ্ক যারা থেকে পিএসএল বিভাগে অন্তর্ভুক্তিকরণ যোগ্য প্রদত্ত ঋণের উৎস; ব্যাঙ্ক কর্তৃক জারিকৃত এইপ্রকার ঋণ সংক্রান্ত শর্তাদির সাপেক্ষে। v) পিসিএলসি- প্রকার: চার প্রকারের পিসিএলসি বর্তমান i) কৃষিভিত্তিক পিএসএলসি: মোট কৃষিভিত্তিক ঋণের লক্ষ্যপূরণের নির্ণায়ক ii) পিএসএলসি এসএফ/এমএফ: ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের ঋণপ্রদানের জন্য স্থিরিকৃত অনুলক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্ণায়ক. iii) পিএসএলসি অতিক্ষুদ্র উদ্যোগ(মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ): অতিক্ষুদ্র উদ্যোগে ঋণপ্রদান সম্পর্কিত অনুলক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্ণায়ক। iv) পিএসএলসি সাধারণ: অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ প্রদানের সার্বিক লক্ষ্যপূরণের নির্ণায়ক। জুলাই 01, 2015 তারিখাঙ্কিত ‘অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ঋণ – লক্ষ্যমাত্রা এবং শ্রেণীবিভাগ’ সংক্রান্ত মাস্টার সারকুলার FIDD.CO.Plan.BC.4/04.09.01/2015-16-তে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে, অগ্রাধিকার ক্ষেত্র বিবিধ প্রকার নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে কৃষি এবং অতিক্ষুদ্র উদ্যোগ। কৃষিক্ষেত্র এবং অতিক্ষুদ্র উদ্যোগে ঋণপ্রদানের সার্বিক এবং ক্ষেত্রগত(সেক্টরাল) লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের ঋণপ্রদানের জন্য নির্ধারিত অনুলক্ষ্যমাত্রাও ব্যাঙ্কসমূহের পূরণ করা প্রয়োজন।। তদনুসারে, পিএসএল লক্ষ্যমাত্রার পূরণ/ঘাটতি নির্ণয়ে হিসাবসংক্রান্ত সমস্যাদির থেকে রেহাই পেতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, উল্লেখিত চার প্রকার প্রমাণপত্র নির্দিষ্ট ঋণপ্রদানের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং যেমন নিম্নলিখিত আছে তেমনভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা/অনুলক্ষ্যমাত্রার নির্ণায়ক হবে:
এইভাবে, সেরকম একটি ব্যাঙ্ক যার কোনও অনুলক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঘাটতি থাকবে(যেমন এসএফ/এমএফ, অতিক্ষুদ্র) তাকে সেই লক্ষ্যমাত্রাটি পূরণের জন্য নির্দিষ্ট পিএসএলসি ক্রয় করতে হবে। যদিও, কোন একটি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে যদি কেবলমাত্র তার জন্য প্রযোজ্য সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঘাটতি থাকে, তবে সেই ব্যাঙ্ক যেকোন পিএসএলসি- যেগুলি পাওয়া যাচ্ছে তা ক্রয় করতে পারবে। vi) পিএসএল লক্ষ্যপূরণের হিসেব: কোন একটি ব্যাঙ্কের পিএসএল লক্ষ্যপূরণের মাত্রা মাপতে হিসেব করা হবে বকেয়া থাকা (আউটস্ট্যান্ডিং) অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের ঋণ, এবং যে পিএসএলসি গুলি জারি করা হয়েছে এবং বিক্রয় করা হয়েছে তাদের নিট নমিনাল মূল্যের যোগফল। রিপোর্টিং তারিখে, এই হিসাব পৃথকভাবে করা হবে যেখানে অনুলক্ষ্যমাত্রাগুলি নির্ধারণ করা আছে। vii) জারি যোগ্য রাশি: সাধারণতঃ অন্তর্নিহিত (আন্ডারলাইং) সম্পদের ভিত্তিতে পিএসএলসি জারি করা হবে। যদিও, পিএসএলসি-র জন্য একটি মজবুত এবং জনতরঙ্গসৃষ্টিকারী বাজার সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে, ব্যাঙ্ক-কে, হিসেবের বইতে কোনও অন্তর্নিহিত অংশ না থাকার পরও গত বছরের পিএসএল লক্ষ্যপূরণের 50 শতাংশ পর্যন্ত পিএসএলসি হিসাবে জারি করতে অনুমতি দেওয়া আছে। যদিও রিপোর্টিং তারিখে, বকেয়া থাকা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে ঋণ সম্পর্কিত পোর্টফোলিও এবং, জারিকৃত ও বিক্রিত পিএসএলসি-র নিটফল-এদের যোগফলকে আবশ্যিক ভাবে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে হবে। অদ্যবধি, লক্ষ্যপূরণে ঘাটতির রাশিপরিমাণ পর্যন্ত, ব্যাঙ্ককে আরআইডিএফ/ অন্য ফান্ডে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয়। viii) ঋণ সংক্রান্ত ঝুঁকি (ক্রেডিট রিস্ক): ঋণ সংক্রান্ত ঝুঁকির স্থানান্তরণ করা যাবে না যেহেতু অন্তর্নিহিত অংশে কোনও ট্যাঞ্জিবেল সম্পদ হস্তান্তরণ বা নগদরাশির প্রবাহ ঘটে না। ix) অন্তিম তারিখ: প্রথম বিক্রয় যে তারিখেই হোক না কেন, সমস্ত পিএসএলসি-র অন্তিম তারিখ মার্চ 31 এবং রিপোর্টিং তারিখের (মার্চ 31) পর সেগুলি আর বৈধ থাকবে না। x) নিষ্পত্তি: ফান্ড সম্পর্কিত নিষ্পত্তি ই-কুবের পোর্টালের মাধ্যমে করা হবে যেমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। xi) মূল্য এবং মাশুল: পিএসএলসি-র নমিনাল মূল্য প্রতিনিধিত্ব করবে সমতূল পিএসএল-এর যা বিক্রেতার পিএসএল পোর্টফোলিও থেকে বিয়োজিত হবে এবং ক্রেতার পিএসএল পোর্টফোলিও-তে সংযোজিত হবে। ক্রেতা একটি বাজার নির্ধারিত মাশুল বিক্রেতাকে প্রদান করবে। ‘xii) লট’-এর আকার: পিএসএলসি-র ‘লট’-এর স্ট্যান্ডার্ড আকার 25 লক্ষ টাকা বা তার গুণিতক রাশি হবে। xiii) হিসাবরক্ষণ: পিএসএলসি ক্রয় বাবদ প্রদত্ত মাশুল ‘খরচ’(এক্সপেন্স) হিসাবে দেখাতে হবে এবং পিএসএলসি বিক্রয় বাবদ গৃহিত মাশুল ‘মিশ্র আয়’ (মিসলেনিয়াস ইনকাম) হিসাবে দেখাতে হবে। xiv) উদঘাটন: বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়কেই বার্ষিক ভিত্তিতে ক্রিত এবং বিক্রিত পিএসএলসি রাশি (প্রকার অনুসারে) ‘ডিসক্লোজার টু দ্য ব্যালান্স শিট’-এ জানাতে হবে। উদাহরণসহ ব্যাখ্যা: 1. জুলাই 15, 2016 তারিখে ব্যাঙ্ক A 100 টাকা কোটি নমিনাল মূল্যের পিএসএলসি ব্যাঙ্ক B কে বিক্রি করে। এর ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক B সেপ্টেম্বর 30, 2016, ডিসেম্বর 31, 2016 ও মার্চ 31, 2017-এর রিপোর্টিং তারিখগুলিতে 100 কোটি টাকা তার অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের লক্ষ্যপূরণ হিসাবে দেখবে, যখন ব্যাঙ্ক A যথাক্রমানুসারে ঐ রিপোর্টিং তারিখগুলিতে ঐ পরিমাণ রাশি তার লক্ষ্যপূরণ হওয়া থেকে কমিয়ে দেবে।মার্চ 31, 2017 পিএসএলসি-র অন্তিম তারিখ। 2. ব্যাঙ্ক C মার্চ 30, 2017 তারিখে 100 কোটি টাকার পিএসএলসি ব্যাঙ্ক D-এর থেকে ক্রয় করে।মার্চ 31, 2017 তারিখে রিপোর্টিং-এর সময়, ব্যাঙ্ক D 100 কোটি টাকা তার পিএসএল থেকে বিয়োগ করবে যখন ব্যাঙ্ক C ঐ রাশিকে তার লক্ষ্যপূরণ হিসাবে দেখবে।মার্চ 31, 2017 পিএসএলসি-র অন্তিম তারিখ। |