আরবিআই-এর 80 তম জয়ন্তী উদযাপনঃ ভারতের দারিদ্র দূ - আরবিআই - Reserve Bank of India
আরবিআই-এর 80 তম জয়ন্তী উদযাপনঃ ভারতের দারিদ্র দূর করতে জন্য আগামী 20 বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির রাখতে ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন
তারিখঃ 03/04/2015 আরবিআই-এর 80 তম জয়ন্তী উদযাপনঃ ভারতের দারিদ্র দূর করতে জন্য আগামী 20 বছরের ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী 20 বছর ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণকে দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎসাহপ্রদানে নেতৃত্ব দিতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিকট আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন, যাতে দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মানের রূপান্তর ঘটে। “গরিব, নির্ধন, প্রান্তিক এবং উপজাতিভুক্ত মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে আমার আগমন। আমি তাঁদেরই একজন। তাঁদের পক্ষ নিয়েই আমার অন্বেষণ এবং বিশ্বাস করি আপনারা আমাকে নিরাশ করবেন না।” প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক তার 80 তম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্মেলনে। এপ্রিল 2, 2015 তারিখে ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস, মুম্বই-তে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। 80 তম জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, তার কর্মীবর্গ এবং অন্যান্য সকলকে যাঁদের প্রতিদানে প্রতিষ্ঠানটি বিকশিত হয়েছে। তিনি তাঁর এবং ডঃ রঘুরাম জি. রাজনের মধ্যে দ্বি-মাসিক আলোচনার দিকে ইঙ্গিত করেন এবং বলেন যে সেইখানকার হৃদ্যতা সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চিন্তাভাবনার সামঞ্জস্যকেই নির্দেশ করে। “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকায় আমি সন্তুষ্ট”-তিনি উল্লেখ করেন। অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুন জেটলি, শ্রী সি. বিদ্যাসাগর রাও, মাননীয় গভর্নর, মহারাষ্ট্র এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর প্রাক্তন গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বরিষ্ঠ নির্বাহীগণ; আর্থিক নিয়ন্ত্রকসমূহের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের চিফ এক্সিক্যুটিভ/ম্যানেজিং ডিরেক্টর/এক্সিক্যুটিভ ডিরেক্টর/ভারপ্রাপ্ত মহাপ্রবন্ধকগণ এবং বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের প্রযুক্তি, আঞ্চলিক গ্রামীন ব্যাঙ্কসমূহের চেয়ারম্যানগণ; ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান, বিজিনেস করেসপন্ডেন্ট, বিদ্যায়তন ও প্রশিক্ষণভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিগণ। দরিদ্র মানুষের হাতে অন্যান্য সুবিধা পৌঁছানো, অর্থমন্ত্রীর মতে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এর আগে, শ্রী অরুন জেটলি, ভারতের মাননীয় অর্থমন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রীর জন ধন যোজনা-র সাফল্যের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ এবং তার কর্মীবর্গের ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন যে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হল এইসকল অ্যাকাউন্টসমূহকে সক্রিয় করা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়াকে সাফল্যমন্ডিত করা এবং সার্বজনীন বৃদ্ধি-কে বাস্তবায়িত করা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তার 80 তম জয়ন্তী উপলক্ষে সৌজন্য প্রকাশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন যে সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে সর্বদাই গঠনমূলক কথাবার্তা হয়েছে। সুযোগ এবং বাছাইয়ের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র এবং দীনহীন ব্যক্তিবর্গের ক্ষমতায়ন, আরবিআই গভর্নর বলেন তাঁর অভ্যর্থনা প্রস্তাবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডঃ রঘুরাম জি. রাজন আশু কর্মসূচী পুনর্নিরূপন করেন এবং বলেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভিপ্রায় একটি মালিকানা-নিরপেক্ষ, প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ, প্রযুক্তিভিত্তিক অজ্ঞেয়বাদী স্তরের প্রতিযোগিতা ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। অতিতৎপর অর্থপ্রদান ব্যবস্থা-প্রদায়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যখন ব্যাঙ্কসমূহও প্রতিযোগিতামূলকভাবে সবার কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার নতুন নতুন উপায় বার করছে এবং লেনদেন ব্যয় হ্রাস করছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধুনিকতম অর্থপ্রদান পদ্ধতি প্রযুক্তি-সহায়তা দিতে চলেছে এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার সাইবার-তত্বাবধান এবং সাইবার-সুরক্ষা ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করছে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বাজারের আরও ব্যাপক বিকাশ ঘটানোর ব্যাপারেও ফোকাস করবে যাতে সেই ঝুঁকি নেওয়া যায়, যা প্রায়ই ব্যাঙ্ক বা কর্পোরেশনের-এর ক্ষেত্রে থাকে। গভর্নর সাবধান করেন যে জাতীয় স্তরে পরিকাঠামো খাতে ব্যয়বরাদ্দের পিছনে প্রয়োজনীয় জোর দিতে গিয়ে আর্থিক ভারসাম্য-কে অগ্রাহ্য করা উচিৎ নয়, যা হল জাতীয় নিরাপত্তার চাবিকাঠি। তিনি ব্যক্ত করেন যে সামনের দিকে এগোতে গিয়ে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ মূলধনের নতুন নতুন উৎসের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন যাতে ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের চাহিদা মেটানোর আর্থিক সহায়তা পরিমিত পরিমাণে কর্জ করেই করা যায়, যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কও সিস্টেমকে ঋণমুক্ত করতে চেষ্টা করেছে। “সম্ভবত দেশের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হল প্রত্যেক দরজায় দরজায় এবং প্রত্যেক ক্ষুদ্র উদ্যোগের নিকট আর্থিক পরিষেবা এনে দেওয়া। দরিদ্র মানুষ এখনও ব্যাঙ্ক শাখা থেকে অনেক তফাতে থাকে বা সেখানে পা রাখার ব্যাপারে অত্যধিক অস্বস্তি বোধ করে।” তিনি উল্লেখ করেন এবং যোগ করেন যে “আমি আত্মবিশ্বাসী যে প্রধান মন্ত্রীর জন ধন যোজনা এবং মুদ্রা ব্যাঙ্ক-এর মত সরকারি পদক্ষেপ, তার সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি, নতুন প্রতিষ্ঠান এবং সোজাসুজি সুবিধা প্রসারের মত নতুন প্রক্রিয়া গ্রহণের মধ্য দিয়ে, আমাদের দেশ সুযোগ এবং বাছাইয়ের সুবিধা উভয়েরই মাধ্যমে দরিদ্র এবং দীনহীন ব্যক্তিবর্গের ক্ষমতায়ন করতে পারবে। অন্য দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নিশ্চিত করতে হবে অধিকতর উপভোক্তা সুরক্ষা এবং উপভোক্তা স্বাক্ষরতা বিষয়ে।” উপসংহারে তিনি বলেন যে শক্তিশালী জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা কঠিন। অতএব অল্প যে কয়েকটি আছে তাদের বাইরে থেকে প্রতিপালন করতে হবে এবং ভিতর থেকে অবিরত সজীব রাখতে হবে। প্যানেল পর্যায়ের আলোচনা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক ভাষণের পর আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রয়াসের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক বিষয়ে চারটি প্যানেল পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় : i) আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ - সকল প্রয়াস প্রস্ফুটিত হোক; ii) আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, আর্থিক স্বাক্ষরতা এবং উপভোক্তা সুরক্ষা মধ্যে যোগাযোগস্থাপন; iii) আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে বাণিজ্যিক পরিস্থিতি গঠন করা : বি সি মডেলই গ্রহণযোগ্য কিনা? এবং iv) আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ- সামনের পথ। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকার, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সাংবাদিকতা – ক্ষেত্রসমূহ থেকে বিশেষজ্ঞগণ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড মেম্বারগণ অংশগ্রহণ করেন প্যানেল পর্যায়ের আলোচনাগুলিতে, যার প্রত্যেকটিতে পৌরহিত্য করেন একজন করে ডেপুটি গভর্নর। আরবিআই-এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রকাশ “দ্য কনসাইস হিস্ট্রি অফ দ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, 1935-1981” এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দ্বারা প্রকাশিত হয়। পুস্তক খন্ডটি সংকলিত করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভ্যন্তরীণ নথি-র ভিত্তিতে। একটি গৃহীত এবং সংক্ষেপিত সংস্করণ 3,000 পৃষ্ঠার প্রথম তিন খন্ড প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস ভিত্তিক, সময়কালের ব্যাপ্তি 1935, ব্যাঙ্কের গড়ে ওঠা থেকে 1981 পর্যন্ত, “দ্য কনসাইস হিস্ট্রি অফ দ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া” হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আরও একটি প্রয়াস যাতে নিজেকে সাধারণ জনতার কাছে ধোঁয়াশামুক্ত করা যায়। আরবিআই-এর পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ একটি অদ্বিতীয় পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ হিসাবে, “গ্রো ট্রী” নামক একটি অসরকারি সংস্থা-র মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের বিভিন্ন অংশে 200 টি বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। প্রধান মন্ত্রীকে অভ্যর্থনাস্বরূপ পুষ্পপ্রদানের পরিবর্তে উপহার দেওয়া হয় একটি শংসাপত্র যেখানে উক্ত কর্মসূচীটির উল্লেখ রয়েছে। অতঃপর, গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ, চেন্নাই-এর শিক্ষার্থীগণ কর্তৃক ছিন্ন কারেন্সি নোটের থেকে প্রস্তুত ‘ডান্ডি মার্চ’ শীর্ষক একটি শিল্পকৃতি ডায়াসে উপস্থিত প্রত্যেক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মেমেন্টো হিসাবে উপহার দেওয়া হয়। অল্পনা কিল্লাওয়ালা প্রেস বিজ্ঞপ্তি : 2014-2015/2083 |