আরবিআই-এর সাম্প্রতিক সরলীকৃত কেওয়াইসি পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে সজাগ করা
তারিখ: 26/08/2014 আরবিআই-এর সাম্প্রতিক সরলীকৃত কেওয়াইসি পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে সজাগ করা নতুন এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ‘নিজের গ্রাহককে জানুন’(কেওয়াইসি)বিধি সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় নিয়ে একটি নোটসহ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আজ একটি একটি পোস্টার এবং একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করে। এর লক্ষ্য হল নতুন এ্যাকাউন্ট খোলার সময় সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেওয়াইসি পদ্ধতিকে আরও সরল করার জন্য যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে জনগণকে সজাগ করা। সরল করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহঃ 1.পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণের জন্য একটি মাত্র নথিঃ এখন আর পরিচয় এবং ঠিকানা প্রমাণের জন্য আলাদা করে দুটি নথি জমা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যদি নতুন এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জমা দেওয়া নথি সরকারিভাবে বৈধ হয়, এবং একজন ব্যক্তির পরিচয় ও ঠিকানা উভয় তাতে দেওয়া থাকে, তবে প্রমাণ হিসাবে অন্য কোন নথি জমা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কেওয়াইসি-র জন্য সরকারিভাবে বৈধ নথিরগুলির(ওভিডি)মধ্যে পড়বেঃ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, ইউআইডিএআই কর্তৃক জারি করা আধার-পত্র এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকের সই করা এনআরইজিএ দ্বারা জারি করা জব কার্ড এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার জন্য ই-কেওয়াইসি পদ্ধতির অন্তর্গত ইউআইডিএআই থেকে প্রাপ্ত ব্যক্তিগত বিশদ বিবরণ, যেমন নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ ইত্যাদি এবং ছবি ‘সরকারিভাবে বৈধ নথি’ হিসেবে ধরা হবে। 2. সাম্প্রতিক ঠিকানার জন্য আলাদা করে ঠিকানা প্রমাণের প্রয়োজন নেই যেহেতু ভ্রাম্যমান শ্রমিক, স্থানান্তরিত কর্মচারী ইত্যাদিরা ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সাম্প্রতিক ঠিকানার প্রমাণ জমা করতে প্রায়শ অসুবিধার সম্মুখীন হন, তাই এই ধরনের গ্রাহকরা নতুন এ্যাকাউন্ট খোলার সময় অথবা সময়ে সময়ে এ্যাকাউন্টটি সময়ানুগ করার উদ্দেশে একটি মাত্র ঠিকানার প্রমাণ (সাম্প্রতিক অথবা স্থায়ী)জমা দিতে পারেন। যদি গ্রাহক কর্তৃক জমা করা ঠিকানা-প্রমাণ থেকে সাম্প্রতিক ঠিকানা ভিন্ন হয়, তাঁর দেওয়া সাম্প্রতিক ঠিকানা সম্বন্ধে একটি সাধারণ ঘোষণাই যথেষ্ট হবে। 3. একই ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে অন্যত্র এ্যাকাউন্ট স্থানান্তরিত করার জন্য কোন আলাদা কেওয়াইসি নথির প্রয়োজন নেই একটি ব্যাঙ্কের একটি শাখা একবার কেওয়াইসি গ্রহণ করলে সেটি সেই ব্যাঙ্কের অন্য কোন শাখায় এ্যাকাউন্ট স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে বৈধ বলে গৃহীত হবে। গ্রাহক তাঁর এ্যাকাউন্ট এক শাখা থেকে কোন বাধানিষেধ ছাড়াই এবং চিঠিপত্রে আদানপ্রদানের জন্য তাঁর দ্বারা ঘোষিত স্থানীয় ঠিকানা্র ভিত্তিতে আরেক শাখায় স্থানান্তরিত করতে পারেন। 4. ক্ষুদ্র এ্যাকাউন্ট যে সমস্ত ব্যক্তিগণের কাছে কোন ‘সরকারিভাবে বৈধ নথি’ নেই, তিনিও ব্যাঙ্কে ‘ক্ষুদ্র এ্যাকাউন্ট’ খুলতে পারেন। ‘ক্ষুদ্র এ্যাকাউন্ট’ একটি নিজের স্বাক্ষরে প্রত্যয়িত প্রতিচ্ছবি এবং ব্যাঙ্কের কোন একজন আধিকারিকের উপস্থিতিতে সই অথবা বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠীর ছাপ দেওয়ার ভিত্তিতে খোলা যায়। এই এ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে মোট ঋণ (বছরে এক লাখের বেশি নয়), মোট টাকা তোলা পরিমাণ(মাসে দশ হাজার টাকার বেশি নয়) এবং এ্যাকাউন্টে ব্যালান্স(কোন সময়ই পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি নয়)-এর ব্যাপারে সীমা বেধেঁ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই ক্ষুদ্র এ্যাকাউন্টগুলি বারো মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে। এরপরে এধরনের এ্যাকাউন্টকে আরো বারো মাস চালানোর অনুমতি দেওয়া যায়, যদি এ্যাকাউন্টধারক এ্যাকাউন্ট খোলার বারো মাসের মধ্যে সরকারিভাবে বৈধ নথি’র জন্য আবেদন করেছেন,এরকমকোননথিপেশকরতেপারেন। 5. স্বল্প ঝুঁকির গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ নথি (ওভিডি) শিথিল করা যদি কোন ব্যক্তির কাছে উপরে বর্ণিত কোন আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ নথি না থাকে কিন্তু ব্যাঙ্ক তাকে ‘স্বল্প ঝুঁকি’ শ্রেণীভুক্ত করে, সেই ক্ষেত্রে তিনি নিম্নে লিখিত যে কোন নথি জমা করে ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট খুলতে পারেনঃ ক) কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকারি বিভাগ, বিধিবদ্ধ/নিয়ন্ত্রক সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং সরকারি আর্থিক সংস্থা কর্তৃক জারি করা আবেদনকারীর ছবিসহ পরিচয়পত্র খ) গেজেটেড অফিসার কর্তৃক জারি করা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রত্যয়িত ছবিসহ পত্র 6. নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে কেওয়াইসি সময়ানুগ করা নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে কেওয়াইসি সময়ানুগ করার সময়সীমা বর্তমানে স্বল্প/মাঝারি/অধিক ঝুঁকির গ্রাহকদের ক্ষেত্রে 5/2 বছরের জায়গায় যথাক্রমে 10/8/2 বছর করে হয়েছে। 7. অন্যান্য ছাড়
অল্পনা কিল্লাওয়ালা প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ 2014-2015/410 |
পেজের শেষ আপডেট করা তারিখ: