৬.৫% সেভিংস বন্ড, ২০০৩ (করমুক্ত)-এর পরিশোধ - আরবিআই - Reserve Bank of India
৬.৫% সেভিংস বন্ড, ২০০৩ (করমুক্ত)-এর পরিশোধ
আরবিআই সার্কুলার নং ২৪৯/২০০৭-০৮ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০০৮ মহাপ্রবন্ধক প্রিয় মহাশয়, ৬.৫% সেভিংস বন্ড, ২০০৩ (করমুক্ত)-এর পরিশোধ দয়া করে ৬.৫% সেভিংস বন্ড, ২০০৩ (করমুক্ত) জারি করা সংক্রান্ত আমাদের মার্চ ১৫, ২০০৩ তারিখের লোন সার্কুলার সিও.ডিটি.১৩.০১.২৯৮/এইচ-৩৫৬৬/২০০২-০৩ দেখবেন। ভারত সরকারের ১৫.৩.২০০৩ তারিখের বিজ্ঞপ্তি নং এফ.৪(৯)ডব্লু এন্ড এম /২০০৩-এর শর্তাধীন উক্ত বন্ড জারি করা হয় যার পরিশোধের মেয়াদপূর্তি শুরু হবে মার্চ ২৪, ২০০৮ থেকে ও তৎপরবর্তী সময়কালে - ব্যক্তিবিশেষগণ যেমন যেমন বিনিয়োগ করেছেন তার তারিখানুক্রমে। ভারত সরকার , অর্থ মন্ত্রক, অর্থনীতি বিষয়ক বিভাগ, নতুন দিল্লি দ্বারা ফেব্রুয়ারি ২২, ২০০৮ তারিখে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি আপনাদের জ্ঞাতার্থে সংযুক্ত করা হলো। এজেন্সি ব্যাঙ্কগুলিকে বন্ড লেজার একাউন্ট(বিএলএ)-এর অধীন রক্ষিত বন্ডগুলির পরিশোধের জন্য যে সাধারণ প্রক্রিয়াগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে সেগুলি নীচে দেওয়া হলোঃ ১. বিনিয়োগকারীদের নির্দেশপত্র জারি করাঃ বিএলএ-এতে বিনিয়োগ করা বন্ড যে তারিখে পরিশোধের জন্য মেয়াদপূরণ করবে তার এক মাস পূর্বে বিনিয়োগকারীকে বন্ডের মেয়াদপূর্তি সম্পর্কে সংযোজনী ১ (প্রতিলিপি সংযুক্ত)-এ প্রদত্ত ফর্মাতে অবহিত করতে হবে। বন্ডধারকদের এই নির্দেশপত্র রেজিস্টার্ড/স্পিড পোস্ট-এ পাঠাতে হবে। এটি সুনিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলির ক্ষেত্রেই যেন নির্দেশপত্র পাঠানো হয় যে বিএলএ-গুলির উপর নিষেধ নেই । ২. মেয়াদপূর্তি পরবর্তীকালীন সুদঃ মার্চ ১৫, ২০০৩ তারিখের লোন সার্কুলার এর অনুচ্ছেদ ১৫ অনুসারে বন্ডগুলি জারি করার তারিখ থেকে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলে পরিশোধযোগ্য হবে। বন্ডগুলির মেয়াদপূর্তির পর আর কোনও সুদ দেওয়া হবে না। আপনাদের সেই কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে উপরোক্ত নির্দেশপত্রে স্পষ্ট করে বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দিন যে এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তি পরবর্তী সুদ যুক্ত হয় না। ৩. বিনিয়োগকারী দ্বারা প্রমাণপত্রের দাবিত্যাগ করা: (১) সরকারি ঋণপত্র প্রনিয়ম, ২০০৭ (প্রতিলিপি আমাদের ডিসেম্বর ৭, ২০০৭ তারিখাঙ্কিত পত্র ডিজিবিএ.সিডিডি.এইচ-৬২৯৮/১১.২৯.০০২/২০০৭-০৮ মাধ্যমে প্রেরিত)-এর প্রনিয়ম ২৪(২)(বি) মোতাবেক বন্ড লেজার একাউন্ট (বিএলএ) রূপে রক্ষিত সরকারি ঋণপত্রের নথিভুক্ত ধারককে মেয়াদপূরণের অর্থ প্রদান করা হবে প্রদান আদেশ (পে অর্ডার) মাধ্যমে অথবা তার কোনও ব্যাঙ্কের একাউন্টে ক্রেডিট করে, যেখানে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করার সুবিধা আছে। এই উদ্দেশ্যে প্রনিয়ম ২৪(২)(ডি) অনুযায়ী বন্ড ধারককে তার ব্যাঙ্ক একাউন্টের প্রাসঙ্গিক অনুপুঙ্খ এজেন্সি ব্যাঙ্কের নিকট জমা দিতে হবে। এই প্রনিয়ম বাস্তবে বন্ডের পরিশোধের জন্য বিনিয়োগকারীর দ্বারা সংযোজনী ১ জমা করার প্রয়োজনীয়তাকে বাতিল করে এবং এজেন্সি ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দিষ্ট তারিখে আবশ্যিকভাবে মেয়াদপূর্ণ বন্ড পরিশোধ করার ও অর্থপ্রদানের নির্দেশপত্র পাঠানোর অধিকার দেয়। নির্দিষ্ট তারিখে আবশ্যিকভাবে পরিশোধ সাধনের জন্য যাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ দেওয়া নেই, সেই সব বিএলএ ধারকদের তাদের প্রয়োজনীয় বিবরণসহ পরিশোধের অর্থ বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাদের একাউন্টে ক্রেডিট করার আজ্ঞাপত্র (ম্যানডেট) পাঠানোর জন্য বলা যেতে পারে। এটা অনুধাবনযোগ্য যে আজ্ঞাপত্র না পাওয়া গেলে আগের মতোই সংযোজনী ১এ-র মাধ্যমে দাবিত্যাগ প্রাপ্তির পরেই পরিশোধ করা হবে। মেয়াদপূর্তি সম্পর্কে অবহিত করার নির্দেশপত্র (সংযোজনী ১) যথোপযুক্তভাবে সংশোধন করে উপরোক্ত পরিবর্তনগুলি সামিল করা হয়েছে এবং উক্ত নির্দেশপত্র ও বিনিয়োগকারী জমা দেবেন যে আজ্ঞাপত্র তার একটি করে প্রতিলিপি সংযুক্ত করা হলো। (২) পরিশোধের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকার অধিক হলে, বর্তমান নির্দেশ অনুযায়ী বিনিয়োগকারীকে তাঁর প্যান / জিআইআর নং, অথবা প্যান / জিআইআর নং না থাকলে ফর্ম নং ৬০-এ একটি ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। ৪. বিনিয়োগকারীদের অর্থপ্রদান (১) যদিও পরিশোধের জন্য রসিদ (সংযোজনী ১এ) বেশ আগে থাকতেই জমা পড়ে, কিন্তু সুনিশ্চিত করা দরকার যে বাস্তবে পরিশোধের অর্থপ্রদান যেন নির্দিষ্ট তারিখেই করা হয়, এবং যদি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা হয় তবে নির্দিষ্ট তারিখেই যেন তা বিনিয়োগকারীর একাউন্টে ক্রেডিট হয়, তার পূর্বে নয়। যদি মেয়াদপূর্ণের দিনটিকে রাজ্য সরকার নিগোসিয়েবিল ইনস্ট্রুমেন্ট এক্ট, ১৮৮১-এর অধীনে ছুটির দিন বলে ঘোষণা করে অথবা মেয়াদপূর্তির দিনটি রবিবারে পড়ে তবে মেয়াদপূরণের অর্থপ্রদান আগের কাজের দিন করতে হবে। (২) যারা বিএলএ পরিচালন করে সেই সব সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক শাখাই শুধু পরিশোধের অর্থপ্রদান করবে। বিনিয়োগের পরিসমাপ্তি সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ, যেমন তারিখ এবং পরিমাণ ইত্যাদির বিবরণ রাখতে হবে এবং বিএলএ-তে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, এবং যে সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন,তত্ত্বাবধানকারী আধিকারিক কর্তৃক তা প্রামাণীকৃত হতে হবে। (৩) একই বিএলএ-তে একাধিক বিনিয়োগ থাকলে আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটি বিনিয়োগেরই মেয়াদপূরণের বিষয় তাতে দেখাতে হবে এবং একটি একক বিনিয়োগের বিএলএ নং, মেয়াদপূরণের তারিখ ও পরিমাণ উল্লেখ করে বন্ড-ধারণের বিবরণী (স্টেটমেন্ট অফ হোল্ডিং) তৈরি করে বিনিয়োগকারীকে দিতে হবে। এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে বাকি ব্যালেন্স যা বিএলএ-তে উল্লেখিত সেই একই ব্যালেন্স যেন বন্ড-ধারণের বিবরণীতেও থাকে। ৫. প্রদান-আদেশ বিলি: প্রদান-আদেশ দ্বারা পরিশোধের ক্ষেত্রে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে পরিশোধের তারিখ উল্লেখসহ প্রদান-আদেশ যেন তৈরি থাকে/ডাকে পাঠানো হয়ে থাকে (যেখানে ডাকে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে)যাতে সেটি একদিন অগ্রিম ধারকের কাছে পৌঁছায় এবং বরিষ্ঠ নাগরিকের ক্ষেত্রে অন্তত তিন দিন অগ্রিম। স্পিড পোষ্ট/রেজিস্টার্ড পোষ্ট-এর মাধ্যমে প্রদান-আদেশ পাঠানো যেতে পারে। ৬. সুদ প্রদান: অ-ক্রমসঞ্চয়ী প্রকল্পের অধীনে বিএলএ-র ক্ষেত্রে, শেষ ভাঙা কাল-পর্বের সুদ মূলের সঙ্গে প্রদান করতে হবে। এধরনের বিনিয়োগের সুদ-ওয়ারেন্ট মেয়াদপূর্তির তারিখেই পাঠিয়ে দিতে হবে, বিনিয়োগকারী পরিশোধের নিমিত্তে দাবিত্যাগপত্র দিয়ে থাকুক বা নিয়ে দিয়ে থাকুক। মেয়াদপূর্তি হয়ে যাওয়া বিএলএ-র সুদ-ওয়ারেন্ট পাঠানোর সময় তার সঙ্গে বিনিয়োগকারীর নামে পাঠানো পত্রে নির্দিষ্ট যে দিন মেয়াদপূরণ হয়েছে তার উল্লেখ যেন থাকে। বিনিয়োগকারীকে পাঠানো নির্দেশপত্রে যেন এই কথাগুলি থাকে “বিনিয়োগের উপর ..../..../...... (মেয়াদপূর্তির তারিখ)-এর পর কোনও সুদ জমা পড়বে না”। ৭. হিসাবরক্ষণ: মূল এবং সুদের হিসাব পৃথক পৃথকভাবে করা উচিত এবং সময়ে সময়ে জারি হয়েছে এবং তা বর্তমানে চালু রয়েছে সেই সমস্ত নির্দেশমতো নিরীক্ষা / যাঁচাই-এর উদ্দেশ্যে পৃথক পৃথকভাবে স্ক্রল তৈরি করে নথি হিসেবে তা রক্ষা করা উচিত। ৮. ভারত সরকারের নিকট বিবরণ পেশ করা: ভারপ্রাপ্ত শাখাগুলিকে এই প্রকল্পের অধীনে বিএলএ-র অর্থপ্রদান এবং বকেয়া দেখিয়ে কন্ট্রোলার অফ একাউন্টস (হিসাব-নিয়ামক), অর্থনীতি বিষয়ক বিভাগ, অর্থমন্ত্রক, ভারত সরকার, নতুন দিল্লি-র নিকট মাসিক ভিত্তিতে বিবরণী জমা দিতে হবে। এই উদ্দেশ্যে এমওপি-র পরিশিষ্ট ১১ এবং ১২ অনুযায়ী মূল ও সুদের পরিশোধ সংক্রান্ত স্ক্রল পৃথক পৃথকভাবে তৈরি করতে হবে। ৯. সংশ্লিষ্ট অধিকারক্ষেত্রে অবস্থিত পিডিও-র নিকট প্রতিবেদন পাঠানো: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অবস্থিত পিডিও-র নিকট পাঠানো মাসিক প্রতিবেদনে পরিশিষ্ট ৪-এর অংশ ঘ-তে পরিশোধের বিশদ বিবরণ আবশ্যিকভাবে থাকা উচিত। এমওপি-র পরিশিষ্ট ১২ মোতাবেক মূল ও সুদের পৃথক পৃথকভাবে তৈরি করা মাসিক পরিশোধ স্ক্রল একসঙ্গে জমা দিতে হবে। ১০. সিএএস নাগপুর কর্তৃক ব্যয়পূরণ: তারা যে সমস্ত পরিশোধগুলি করেছে শুধু মাত্র তাদের জন্য এমওপি-র অনুচ্ছেদ ১.১৪ এবং ১.১৮(অনুভাগ ১) অনুসারে ব্যয়পূরণ দাবি করাই এজেন্সি ব্যাঙ্কগুলি উপযুক্ত মনে করবে । মূল ও সুদের জন্য পৃথকভাবে করা স্ক্রলগুলি একীকৃত করে তাদের লিঙ্ক সেলের মাধ্যমে প্রচলিত পদ্ধতিতে তারা সিএএস, নাগপুরের কাছে দাবি জানাতে পারে। এই দাবির সপক্ষে অভ্যন্তরীণ/কনকারেন্ট অডিটর-এর নিকট থেকে এই মর্মে প্রমাণপত্র লাগবে যে পরিশোধের অঙ্ক ১০০% পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের ইতোমধ্যেই ঐ পরিমাণের অর্থপ্রদান করা হয়েছে। ১১. নথির সংরক্ষণ: নথি সংরক্ষণ সংক্রান্ত এমওপি-র অনুচ্ছেদ ১.২২ মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশগুলিকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করতে হবে। ১২. ভারপ্রাপ্ত ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ: যেহেতু অধিকাংশ শাখাগুলি তাদের কাজকর্ম কমপিউটার মাধ্যমে করছে, তাই বিনিয়োগকারীদের উন্নত পরিষেবা প্রদান করার জন্য এবং কাজের মধ্যে কোনও ধরনের ঝুট-ঝামেলা পরিহার করার জন্য বেশ আগে থাকতেই উপরের নির্দেশগুলি অনুসারে প্রয়োজনীয় প্রণালীগত পরিবর্তন সাধন করা উচিত। অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত শাখাগুলিকে এই সার্কুলারে উল্লেখ করা বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত করুন। ১৩. উপরের নির্দেশগুলি ব্যাখ্যামূলক, পরিপূর্ণ নয় এবং এগুলি এমওপি, সরকারি ঋণপত্র আইন, ২০০৬ এবং সরকারি ঋণপত্র প্রনিয়ম, ২০০৭-এর সঙ্গে পঠিতব্য। কোনও বিশেষ ধরনের সংশয় বা জিজ্ঞাসা নিরসনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক / শাখা, সংশ্লিষ্ট অধিকারক্ষেত্রের পিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। ১৪. দয়া করে প্রাপ্তি স্বীকার করবেন এবং নির্দেশপালনের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন। আপনার বিশ্বস্ত, (ডঃ বালু কে) |